Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে জামালগঞ্জ

১. ভূমিকাঃ বৃষ্টিবহুল চেরাপুঞ্জির বিরতিহীন বারিধারায় স্নাত গারো পাহাড়ে সৃষ্টি হয় অসংখ্য ছড়া ও ঝর্ণা ধারা।সেসব ছড়া ও ঝর্ণা থেকে উৎপন্ন নদী বেমুনা, যাদুকাটা, রক্তি, পিয়াইন, দিগড় পিয়াইন, ধামালিয়া, আবুয়া, কংশ, ধনু, দৌলতা, ভীমখালী, কানাইখলিী ও সিলেট বিধৌত সুরমা নদীসমূহের বাঁধভাঙ্গা স্রোতে গড়িয়ে আসা বালি, কাঁকর, লতাগুল্ম, বৃক্ষাদি তলানী হিসেবে সঞ্চিত হতো কিংবদন্তির কালিদহ সাগরের তলদেশে। সুদীর্ঘ সময়ের এসব তলানী পলে পলে পলিচাপা পড়ে সঞ্চিত হতে থাকে জলতলে। অতঃপর সময়ের আবর্তনে ভূমিকম্প, জলোচ্ছ্বাস, পলিভরাট ইত্যাদি ও নৈসর্গিক কারণে তিলে তিলে সাগরের তলদেশ থেকে জেগে ওঠা ভূমিই জামালগঞ্জ এলাকা।

১৯৮৪ সনের ১৮ এপ্রিল মান উন্নীত জামালগঞ্জ থানার স্মৃতিফলক উম্মোচন করেন মনসুর আফজাল টি, কিউ, এ। অত্র থানার ফতেহপুর ইউনিয়নকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় কেটে নিয়ে প্রথমে মান উন্নীত থানা এবং পরে জামালগঞ্জ থানার নামকরণ করা হয় জামালগঞ্জ উপজেলা।বর্তমানে জামালগঞ্জ সদর, জামালগঞ্জ উত্তর, সাচনা বাজার, বেহেলী, ভীমখালী ও ফেঁনারবাক এ ছয়টি ইউনিয়ন নিয়ে জামালগঞ্জ উপজেলা গঠিত।

 

২. নামকরণের পটভূমিঃ জামালগঞ্জ-এর নামকরণে ভাটীপাড়ার বয়োবৃদ্ধ জমিদার মরহুম এখলাছুর রহমান চৌধুরীর মতামত প্রণিধানযোগ্য। ১৯৬৪ সালে জনাব এখলাছুর রহমান চৌধুরীর দেয় তথ্য থেকে জানা যায় যে, তাঁদের বংশের পূর্ব পুরুষগণের মধ্যে জামাল ফারুকী নামে একজন প্রসিদ্ধ ব্যক্তি ছিলেন। তাঁকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ভাটীপাড়া এস্টেট কর্তৃক নতুন ক্রয়কৃত দুটি তালুকের নামকরণ করা হয়  জামালগড় ও জামালপুর। অতঃপর সাচনা বাজারের সঙ্গে নদীর পশ্চিমপাড়ে প্রতিযোগিতামূলক একটি নতুন বাজার প্রতিষ্ঠিত হলে এর নামকরণ করা হয় জামালগঞ্জ। “জামাল”-আরবী শব্দ-এর অর্থ মনোরম বা সুন্দর এবং ‌“গঞ্জ”শব্দের অর্থ বাজার বা যেখানে ক্রয়-বিক্রয় করা হয়। আবার “গঞ্জ”অর্থ শহরও বোঝায়। সে বিচারে জামালগঞ্জ হচ্ছে সুন্দর বা মনোরম শহর।

৩. অবস্থানঃপূণ্য ও শ্রীভূমি সিলেট বিভাগের অন্তর্গত, বালি-পাথর, ধান-গান আর মৎস্য সম্পদে পরিপূর্ণ; হাওরের রাজধানী সুনামগঞ্জের ২৩ কি:মি: পশ্চিমে জামালগঞ্জ উপজেলা অবস্থিত। ইহা ২৪৫০''থেকে ২৫০৪'' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১০৫''থেকে ৯১১৯''পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত।

৪. আয়তনঃবর্তমানে আয়তন ৩৩৮.৭৪বর্গকিঃমিঃ।

৫. মানচিত্রঃ 

৬. সীমানাঃডিস্ট্রিক্ট গ্যাজেটিয়ার্স সিলেট থেকে জানা যায়, ১৯৪০ সনের ১২ এপ্রিল ‘জলথানা’ হিসেবে সুরমার বুকে ভাসমান বোটে জামালগঞ্জ থানার যাত্রা শুরু হয়। তখন এ থানার সীমানা ছিল উত্তরে লাউড় পরগনা, দক্ষিনে দিরাই ও খালিয়াজুড়ি থানা, পূর্বে লক্ষণশ্রী ও পাগলা পরগণা এবং পশ্চিমে মোহনগঞ্জ থানা, সেলবরষ ও সুখাইড় পরগনা। বর্তমানে  জামালগঞ্জউপজেলারউত্তরেতাহিরপুরওবিশ্বম্ভরপুরউপজেলা, দক্ষিণেখালিয়াজুরীওদিরাইউপজেলা, পূর্বেসুনামগঞ্জ সদর উপজেলা এবং পশ্চিমে মোহনগঞ্জ ও ধর্মপাশা উপজেলা। এউপজেলা মেঘালয় রাজ্যের পর্বত শ্রেণীর অতিসন্নিকটে যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেমন্ডিত অনেক হাওড় ও বাওররয়েছে।

৭. জনসংখ্যাঃ৫টি ইউনিয়ন, ১০২ টি মৌজা ও ১৯২টি গ্রাম নিয়ে গঠিত জামালগঞ্জ উপজেলায় ২০১১ সালের আদমশুমারী রিপোর্ট আনুসারে মোটজনসংখ্যা ১,৬৭,২৬ জন(এর মধ্যে পুরুষ-৮৪,৬১২জন এবংমহিলা–৮২,৬৪৮জন)।

৮. উপজেলার সমস্যা ও সম্ভাবনাঃ

৮.১ অপার সম্ভাবনার জলাভূমিঃজামালগঞ্জ থানার উল্লেখ যোগ্য জল-মহালের মধ্যে রয়েছে ছাগাইয়া, ভান্ডা, আয়লা, দিরাই, চত্তল, নলচুন্নী, বলহর, ছাতিধরা, পাকনা, ধলাপাকনা, কসমা, ভূতিয়ারগাঙ্গ (বর্তমানে মৃত), জামলাবাজের নীম ও রামপুরের নীম ইত্যাদি। এ সব ছাড়া জামালগঞ্জ থানার প্রতিটি ইউনিয়নে রয়েছে প্রচুর বিল-বাদল ডুবা-নালা। জামালগঞ্জ থানার অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয় ঐসব জল-মহালে এবং ভাসান পানির মাছের কারবারে। এখানকার কাঁচা মাছ-শুটকি মাছ উপাদেয় খাদ্য হিসেবে সারা দেশের আমিষের চাহিদা পূরণের যথেষ্ট সহায়ক। সরকার জামালগঞ্জ মৎস্য সম্পদ থেকে ফি-বছর প্রায় কোটি টাকার মত রাজস্ব পাচ্ছে। অথচ অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় উন্নয়নের চরম সয়লাবের যুগেও এখানে গড়ে তোলা হয়নি কোন হীমাগার, করা হয়নি মাছ শুকানোর কোন আধুনিক যন্ত্রায়ন। যান্ত্রিক যোগাযোগ এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মাছ সরবরাহের বিলম্ব হলে সমূহ ক্ষতির সম্মুখীন হয় মৎস্যজীবিগণ।

জামালগঞ্জ থানার বিভিন্ন প্রজাতির মাছের মধ্যে রয়েছে পাংগাশ, ঘাগট, নানীদ, ফোঁটা(এগুলো বর্তমানে বিলুপ্ত প্রায়) বোয়াল, শোল, গজার, চিতল, রুই, কাতলা, কাইলা, বাঁউশ, আইড়, রিডা, ভূতিয়া, ঘইন্না, করা, মিকরা, বাইম, সিং, মাগুর, গাংমাগুর, কৈ,খলিসা, ফইল্লা বা কাংলা, বাসপাতা, পাইব্যা বা পাবদা, হল্লা, লাচ, এলং, রাণী, গইরা বা চেং করকরিয়া, ভেদা, কাউয়া, একটুটিয়া, ফুগা বা চাপলিয়া, মলা, ডেলা, দারকিনা, গুতুম, কেচকী, ইঁচা, গলদা ইঁচা, গাগলা, গুলসিয়া, বেতগুইঙ্গা, গুইঙ্গ বা টেংরা, চান্দা, ফটকা ইত্যাদি।

জামালগঞ্জ থানার মাছের অভয়াশ্রম ছিল আয়লাবিল। ভাটীপাড়ার এষ্টেইটের নিয়ন্ত্রনাধীন এ বিলে প্রভূত পরিমাণে মাছ পরলক্ষিত হতো। জমিদারগণের পক্ষ থেকে মাছ ধরা সাঙ্গ হলে পার্শ্ববর্তী বিশ গাঁয়ের মানুষ এক সঙ্গে এমনকি দিনকে দিন মাছ ধরেও আয়লাবিলের মাছের কোন শেষ দিতে পারতো না।অথচ সুগভীর বন-জঙ্গলে পরিপূর্ণ গভীর আয়লাবিল আজ জরাজীর্ণ-রুগ্ন। মাছের এলাকা জামালগঞ্জ আজ মাছহীন। দুর্মূল্যের কারণে এবং এক শ্রেণীর লোভী ইজারাদারের প্রতাপে সাধারণ মানুষ আজ হাতের কাছের আমিষের চাহিদা পূরণে হচ্ছে ব্যর্থ।

৮.২ জামালগঞ্জের পাখ-পাখালী: জামালগঞ্জ থানার বিভিন্ন রকম ঝোপ-ঝাড়,লতা,-গুল্ম, বন-জঙ্গল ও বৃক্ষরাজি সদা-সর্বদা নানা প্রকার পাখ-পাখালিতে থাকতো পরিপূর্ণ। কাকের ‘কা-কা’ কুকিলের ‘পিউ-কাহা’, বউ কথা কউ’ পাখির ডাক সহ বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে ভেসে আসা অগণিত পাখ-পাখালীর কিঁচির মিঁচির শব্দে গ্রামবাসী অতি ভোরে জেগে উঠতো। তাছাড়া শীতের মৌসুমে হাওড়ে পতিত অসংখ্য অতিথি পাখির জন্য সে সময় নির্ভরযোগ্য অভয়ারণ্য ছিল আয়লা বিল। ভাটীপাড়া জমিদারগণের কড়া পাহাড়াদার থাকতো সে বিলের চারিদিকে। পাখির উপাদেয় খাদ্যে ভরপুর ছিল সে বিল।পার্শ্বের ঝোপ-জঙ্গল ছিল পাখিদের নির্ভয় আশ্রয় এবং বিলের মাছ ছিল তাদের উপাদেয় খাদ্য। নির্দিষ্ট দিনে বিশেষ শিকারী অতিথি ও জমিদারগণের আত্মীয়-স্বজন একত্রিত হয়ে এক সঙ্গে বিলের চারপাশ হতে বন্দুক নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তো পাখিদের উপর। দশ গাঁয়ের লোক ধরতো সে পাখি। তার পর শুরু হতো পার্শ্ববর্তী গ্রামবাসীদের পাখি শিকার। তবু অতিথি পাখির আসা-যাওয়া বন্ধ হতো না। নির্দিষ্ট সময়েই আসতো তারা, কিন্তু এখন আর ঝাঁকে-ঝাঁকে  আসে না অতিথি পাখি। কারণ মাছ ও পাখির অভয়শ্রম আয়লা বিল হারিয়ে ফেলেছে তার অতীত অবস্থান ও পরিবেশের ভারসাম্য।

অবস্থানগত কারণে আমাদের অত্র এলাকার পাখিকূলকে তিন শ্রেণীতে বিভক্ত করা যেতে পারে। যথাঃ-১। গৃহপালিত পাখি, ২। স্থানীয় পাখি এবং ৩। অতিথি পাখি।

১।গৃহপালিত পাখি হচ্ছে:- হাঁস, মুরগ, কবুতর, তাছাড়া জালালী কবুতর শালিক, দোয়েল, কুড়া, ময়না, এগুলোকে গৃহপালিত বললেও বলা যায়।

২। স্থানীয় পাখির মধ্যে রয়েছে:- কাক, বক, চিল, গাংচিল, হঁউচ্চা, শকুন, কউড়া বা ঈগল (বর্তমানে বিলুপ্তির পথে), খঞ্জন, পেঁছা, ফিঙ্গে, বাবুই, চঁড়ই, হটা, কটকটিয়া, টুনটনি, ফেঁছকুনী, হলদে-পাখি,ডাহুক ইত্যাদি।

৩। অতিথি পাখি:- অতিথি পাখির মধ্যে আমরা দেখতে পাই-লেঞ্জা, ফরালী, বালিহাঁস, রাজহাঁস হারগিলা, ফেরফেরি, চেরচেরি, মুলুবি, ইত্যাদি নানা রকমের পাখি। বোর ক্ষেতে পাখি পড়লে ক্ষেত সাময়িক নষ্ট হলেও পাখির বিষ্টা জৈব সার, টুট ও পায়ের নখের আঁচড়ে ক্ষেত নিড়ানোর কাজ হয়, ফলে ধানের উৎপাদন বাড়ে বৈ কমে না।

হাঁস মুরগী পালন করে না, জামালগঞ্জ থানায় এমন পরিবার আছে বলে মনে হয় না। কারণ হাঁস মুরগী পালনে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা, খাদ্য ও চারণ ভূমির অভাব নেই অত্র এলাকায়। বর্তমানে অনেক প্রগতিশীল শিক্ষিত বেকার যুবক হাঁস-মুরগী ফার্ম করার জন্য চিন্তা ভাবনা করছে। স্থানীয় যুব উন্নয়ন সংস্থার আর্থিক অনুদান, পরামর্শ, সাহায্য ও সহযোগিতা পেলে অনেক বেকার যুবকের কর্ম সংস্থান হবে এবং সুচিত হবে উন্নয়নের এক নতুন দ্বার।

৮.৩ বনজ সম্পদে জামালগঞ্জ: জামালগঞ্জ থানার বনজ সম্পদের অফুন্ত ভান্ডারে সঞ্চিত ছিল-হিজল, করচ, জারই, বট, নিম, গাব, শেওড়া, মান্দার, মেরা, বরুণ, বাঁশ, বেত, মুক্তা, বিন্না, বনতুলসী, বউল্লা, গোজা, নল, খাগড়া, ইকর, এগরা, এলাইঞ্চা, ধইঞ্চা ইত্যাদি। ফলজ ‍বৃক্ষ সমূহের মধ্যে ছিল-আম, আতা, জাম, জামরুল, কুল, বেল, তেঁতুল, নারিকেল, সুপারী, ডেফল, ডালিম, কলা, কামরাঙ্গা, পেঁয়ারা, পেঁপেঁ ইত্যাদি। জলে স্থলে একাকার হয়ে থাকতো চাইল্লা, চিঁছরা, হুগলা, খাজা, এরাইল, ফুটকি, ঝাউ, সিংরা, শালুক, শাপলা, হোগল, কুঁই ইত্যাদি।অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশের অংশ না হলেও জামালগঞ্জের অনেক গ্রামে সূর্য্যলোকের অনুপ্রবেশ সহজ চিল না। অথচ এহেন জামালগঞ্জ উপজেলা উপনীত আজ বৃক্ষলতাহীন বৈদব্যের দ্বারপ্রান্তে।

৮.৪ বালি-পাথরে জামালগঞ্জ: অতীতের খরস্রোতা রক্তি নদী বয়ে অগণিত কার্গো ফাজিলপুর মহাল থেকে বালি-পাথর সংগ্রহ করে ভাটির স্রোতে পাড়ি জমাতো দেশের বিভিন্ন নগর-শহর-বন্দরে। উক্ত মহালের পার্শ্বস্থিত বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ৬/৭ হাজার শ্রমিক স্বল্প পারিশ্রমিকে লোড করে দিতো কার্গো সমূহ। সময়ান্তে স্বার্থের ঠেলা-ঠেলি হয় শ্রমিক ও মহাল মালিকগণের মধ্যে।সর্বদা কার্গো চলাচলের ফলে নদীর পাড় ক্ষয়ে গিয়ে এক সময় নাব্যতা হারিয়ে ফেলে রক্তি নদী। ক্ষীণ স্রোতধারায় বেগে চলমান কার্গো ও ষ্টীলবর্ডি নৌকার প্রতিনিয়ত অনিচ্ছাকৃত সংঘর্ষে ধংশ প্রাপ্ত হতো মালামালসহ ষ্টীলবডি নৌকা সমূহ। হামেশা কার্গো চলাচলে নদী পাড়ের গ্রাম সমূহের ঘটতো সলিল সমাধী।

ইত্যসব কারণে রক্তি নদীতে কার্গো চলাচল বন্দের জন্য সর্বপ্রথম নদীপাড়ের গ্রামবাসী প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়। অতঃপর জনাব নূরুল হক আফিন্দীর নের্তৃত্বে ঢাকা সিনিয়র মুন্সেফ কোর্টে রক্তি নদীতে কার্গো চলাচল বন্দের দাবিতে মোকদ্দমা দায়ের করা হলে ১৯৯৭ সনের জুন মাসে মুন্সেফ কোর্টে নদী পূণঃখননের পূর্ব পর্যন্ত কার্গো চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এমতাবস্থায় রক্তি নদীতে কার্গো চলাচল বন্দ হলে দূর্লভপুরকে কেন্দ্র করে সুরমার দু’তীরে উন্মোচন ঘটে বালি-পাথর ব্যবসার এক নতুন দিগন্ত।

উক্ত বালি-পাথরের ব্যবসাকে কেন্দ্র কের নওয়াগাঁও, জাল্লাবাজ, সাচনা ও জামালগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে ষ্টীলবর্ডি নৌকা গড়ার ওয়ার্কশপ। দুর্লভপুরের বালি মহালে ২৫০ থেকে প্রায় ৩০০ শত ট্রলার ফাঝিলপুর থেকে বালি-পাথর আহরণ করছে প্রতিদিন। জাল্লাবাজ থেকে দূর্লভপুর পর্যন্ত সুরমার দু’কুলে গড়ে উঠেছে চিকচিক সোনালী বালির কৃত্রিম পাহাড়। সুবিন্যস্থ ভাবে ট্যাক দেয়া বালির সুউচ্চ স্তুপ সমূহ প্রকৃতির সৃষ্টি করা গারো পাহাড়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ না সহস্র শ্রমিকের স্বেদক্ষরা শ্রমের বিনিময়ে গড়া সঞ্চয়জাত বালির কৃত্রিম পাহাড়। এসব বালি পাথর ব্যবসা এবং ব্যবসায় নিয়োজিত শ্রমিক ও কার্গো জাহাজ নির্মান শিল্প হতে পারে এ অঞ্চলের নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ।

৯. উপজেলারঐতিহ্যঃজামালগঞ্জ উপজেলা একটি ঐতিহ্যবাহী উপজেলা। হাওড়বেষ্টিত  উপজেলা এবং রয়েছে অনেক বিলবাদল। যা জাতীয় অর্থনীতিতে খাদ্য ও আমিষের যোগানদেয়। অনেক জ্ঞানী গুণী ব্যক্তিত্বের জন্মস্থান। সাচনা বাজার বৃটিশ শাসনামলে প্রসিদ্ধ বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল। জামালগঞ্জ উপজেলা কে নিয়ে একটি বহুল আলোচিত প্রবাদরয়েছে। পবাদটিহলো' মাছ বালি ধান জামালঞ্জের প্রাণ। জামালগঞ্জে রয়েছে বড় বড় হাওর। এসব হাওরে শুকনার সময় ফলে প্রচুর ধান আর বর্ষায় পাওয়া যায় মিঠা পানির বিভিন্ন সুস্বাদু মাছ।আর জামালগঞ্জের বালি পাথর দিয়ে তৈরি হয় দেশের বড় বড় স্থাপনা একথা সবারই জানা।

তথ্য সূত্রঃ    ১। আদম শুমারি রিপোর্ট- ২০১১

           ২। উপজেলার বিভিন্ন অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্য

           ৩। জামালগঞ্জের ইতিহাস- গোলাম মর্তুজা

           ৪। শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত- অচ্যুত চরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি

           ৫। কালনী তীরের লোকগীতি-ফারুকুর রহমান চৌধুরী